মেয়েটার বাবার বাড়ি রাজশাহী।


 মেয়েটার বাবার বাড়ি রাজশাহী, বাবা ছিলেন মেরিন প্রকৌশলী। রাশিয়ান জিমন্যাস্ট মায়ের হাত ধরে রিদমিক জিমন্যাস্টে মেয়েটার আসা।



.

২০১৬ রিও ডি জেনিরো অলিম্পিকে মেয়েটা খুব করে চেয়েছিলো বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে, তার বাবার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে। বাংলাদেশ ও রাশিয়া দুই দেশের নাগরিকত্বই ছিল তার, এখনো আছে। বার বার চেস্টা করার পরেও তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। 

.

কারণ যেখানে এই খেলার কোনো ফাউন্ডেশনই নেই এদেশে, সেখানে তার জন্য আলাদা প্র‍্যাক্টিসের জন্য জিমের ব্যবস্থা করতে হবে, আলাদা খরচ, এজন্য অনাগ্রহ দেখিয়ে পুরোপুরি না করে দিয়েছিল এদেশের এথলেটিক্স ফেডারেশন। 

.

তাতে মেয়েটির অলিম্পিক যাত্রা থামেনি। ২০১৬ রিও ডি জেনিরো অলিম্পিকে খেলেছেন রাশিয়ার হয়ে, রিদমিক জিমন্যাস্টে জিতেছেন স্বর্ণ, গড়েছেন ইতিহাস। 


অলিম্পিকের আসরে আরো একবার গর্বভরে বেজেছে রাশিয়ার জাতীয় সংগীত। আর বাংলাদেশও টিকে রইল ইতিহাসের পাতায়, পৃথিবীতে অলিম্পিক পদক না জেতা সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে। 

.

অলিম্পিক ছাড়াও বিভিন্ন টুর্নামেন্টে রেখেছেন কৃতিত্বের স্বাক্ষর। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণ জিতেছেন ৭ বার, রৌপ্য জিতেছেন ৬ বার। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণ জিতেছেন ৪ বার, রৌপ্য জিতেছেন ৫ বার। 

.

অবসরে চলে গেছেন চার বছর আগে। আবারও এসেছে অলিম্পিক, এই মেয়েটার কথা আবারও মনে পড়ে গেল। হয়ত যতবার অলিম্পিক আসবে ঠিক ততবারই মনে পড়বে এই ব্যাঘ্রশাবকটাকে, রাশিয়ান জিমন্যাস্ট হয়েও যার উপাধি "বেংগল টাইগ্রেস"। যেখানেই থেকো ভালো থেকো, প্রিয় মার্গারিতা মামুন।

.